অধ্যক্ষের বাণী
জীবনে বড় হওয়ার জন্য প্রয়োজন স্বপ্ন, আর এ স্বপ্নই মানুষকে তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথ সুগম করে দেয়। শিক্ষা জ্ঞান অর্জনের একমাত্র পথ।
মেধা ও প্রতিভা নিয়ে পৃথিবীতে কেউ জন্মায় না। মেধা ও প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে হয়। পিতা-মাতা হলো সন্তানদের জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এবং পরিবারই হল সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল মেধা ও প্রতিভা বিকাশের অন্যতম স্থান এবং মেধা ও প্রতিভা বিকাশের অন্যতম কারিগর হলেন শিক্ষক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান বিজ্ঞান, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার কল্যাণেই মনুষ্যত্ব ও মেধার সম্প্রসারণ ঘটে। এর জন্য দরকার একটি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রয়োজনকে অনুধাবন করে এলাকার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সন্তানদের যুগপোযোগী ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের সুমহান লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালের ১৫ই ডিসেম্বর অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে বিশিষ্ট দানবীর জনাব আলহাজ্ব আব্দুস সোব্হান প্রতিষ্ঠা করেন তেজদাসকাঠী কলেজ। তিনি নিজে মাটি কেটে এই কলেজের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। এ সময় দাতা সদস্য ও শিক্ষানুরাগী জনাব মোঃ শাহ আলম সহ টোনা, দুর্গাপুর, কলাখালির সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা প্রায় সাত বিঘা জমি উক্ত কলেজে দান করেন। প্রতিষ্ঠাতা জনাব আলহাজ্ব আব্দুস সোবহান কলেজ স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে মোট ব্যয়ের অধিকাংশ অর্থ তিনি নিজে বহন করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে তেজদাসকাঠী কলেজের শিক্ষক মন্ডলী আপ্রাণ চেষ্টা করে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও মেধাবিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।
জীবন সুন্দর করতে অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই। নিজ নিজ ধর্মের সকল আচার মেনে বছরের প্রথম থেকে নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে পড়ালেখা শুরু করা উচিত। মনে রাখতে হবে সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সকলের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অত্র কলেজের সকল শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের বৃহৎ স্বার্থে অবদান রেখে পিতা-মাতা ও শিক্ষকদের মুখ উজ্জ্বল করবে এবং উক্ত কলেজের প্রতিষ্ঠাতাসহ পূর্ব পুরুষরা যে স্বপ্ন নিয়ে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবে। পরিশেষে এই প্রতিষ্ঠানে যারা বিভিন্ন সময়, অর্থ, মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে কলেজটিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তাদের সহ সকলের জন্য সুস্থতা ও দোয়া কামনা করছি।
আলমগীর হোসেন
অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)
ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
তেজদাসকাঠী কলেজ, পিরোজপুর।